Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সেবা সহজিকরণ
বিস্তারিত

সেবা সহজিকরণ

 

গাজীপুরে বর্তমানে বেকার যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সহজিকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে। এই কার্যক্রম বর্তমানে গাজীপুরে পাইলটিং হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সেবার মান সহজতর করা। যাতে প্রশিক্ষণার্থীগণ স্বল্প খরচে স্বল্প সময়ে এবং অধিক সংখ্যক কম ভিজিট পদ্ধতি অনুসরণ করে অধিকতর মানসম্মত সেবা পেতে পারেন।

 

নি¤œ সহজিকরণ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ পরিচালনার বিভিন্ন সুবিধাদি  পর্যায়ক্রমে বর্ননা করা হলোঃ

 

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং এ, টু, আই, এর উদ্যোগে বেকার যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ সহজিকরণ এর গাজীপুর পাইলটিং কর্মসূচির আওতায় সম্পাদিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর সুফল সর্মপকিত তথ্যঃ

 

১। প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণের আবেদনপত্র শুধুমাত্র জেলা কার্যালয় থেকে সংগ্রহ ও দাখিল করতে হয়। এতে দূরবর্তী  স্থানে অবস্থানকারী আবেদনকারীদের একাধিকবার দপ্তরে আসতে হয়। যা কষ্ট সাধ্য।

ক্ষান্তরে, সহজিকরন পদ্ধতিতে দূরবর্তী স্থানে বসবাসরত বেকার যুবরা আবেদনপত্র ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার/জেলা কার্যালয়/যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র/ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সংগ্রহ ও দাখিল করতে পারবেন। এতে সময়, অর্থ ও কষ্ট লাঘব হবে ।

২। প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণের আবেদনত্রের সাথে সংযোজনকৃত প্রতোকটা কাগজপত্র প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তার কর্তৃক সত্যায়িত করতে হয় এতে অনেক সময় প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়।

ক্ষান্তরে, সহজিকরন পদ্ধতিতে  আবেদনকারী বা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যায়ণ / সত্যায়ন কৃত কাগজপত্র গ্রহন বিধান আছে। যা সহজতর।

৩।প্রচলিত পদ্ধতিতে আবেদনত্রের সাথে  ছবি সংযোজন করা বাধ্যতামূলক।

ক্ষান্তরে, সহজিকরন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করলে ছবি সংযোজন প্রয়োজন হয় না, এতে প্রশিক্ষণার্থীদের অতিরিক্ত ঝামেলা বহন করতে হয় না।

৪। প্রচলিত পদ্ধতিতে আবেদনকারীকে অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে বেকারত্ব সনদ দাখিল করতে     হয়। যা অত্যমত বিব্রতকর এবং সময় সময় কষ্ট সাধ্য।

ক্ষান্তরে, সহজিকরন পদ্ধতিতে  বেকারত্ব সনদ দাখিল করতে হয় না।তাই এক্ষেএে তাদেরকে বেকারত্ব সনদপত্র জোগাড় করার মত  বিব্রতকর  পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় না বিধায় তারা মানসিক ভাবে সমত্মুষ্ট  থাকেন।

৫। প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণের  ভর্তি বিজ্ঞপ্তি স্থানীয় পর্যায় শুধুমাত্র জেলা কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে  প্রদর্শন করা হয়। ব্যাপক সম্প্রচার হয় না।

 

ক্ষান্তরে,  সহজিকরন পদ্ধতিতে নোটিশ বোর্ডে টানানোর পাশাপাশি  প্রশিক্ষণ সংক্রামত্ম তথ্যাদি সম্বাব্য সকলকে জানানোর নিমিএে  প্রচারনা বৃদ্ধির উদ্যোগ হিসাবে জেলার সমন্বয় সভা এবং উপজেলা সমন্বয় সভার সদস্যবর্গ এবং তদসংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। এছাড়া প্রচারের জন্য জেলা উপজেলা ও  ইউনিয়নের ওভেব প্রোর্টালের এবং অনুদানপ্রাপত্ম যুব সংগঠনের সহায়তা নেওয়া হয়। এতে ভর্তি সংক্রামত্ম তথ্যাদির ব্যাপক প্রচার সম্ভ্যব হয়।

০৬। প্রচলিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল শুধুমাত্র জেলা কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডেরমাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের অবহিত করা হয়। এতে দূরবর্তী স্থান হতে একজন প্রশিক্ষণার্থীকে দুই/তিন বার জেলা কার্যালয়ে আগমন করতে হয়। যা কষ্টসাধ্য।

 পক্ষান্তরে,  সহজিকরণ পদ্ধতিতে উপজেলা, জেলা ও যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নোটিশ বোর্ড এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর ওয়েব পোর্টাল এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়। যা দূরবর্তী স্থানের আবেদনকারীগণ ফলাফল জানার জন্য নিজ এলাকা থেকেই অবহিত হতে পারে। যা আবেদনকারীদের জন্য সহজতর।

৭। প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর প্রশিক্ষণ সনদপত্র সংশিস্নষ্ট প্রশিক্ষকগণদ্বারা প্রসত্মত করে যাচাই বাছাই করার পর উপ-পরিচালকের মাধ্যমে মহা-পরিচালক মহোদয় বরাবর স্বাক্ষরের জন্য প্রেরণ করা হয়। সদর দপ্তরে যাচাই বাছাই করে এর সঠিকতা নিরম্নপন করার পর কয়েকটি ধাপ পার হয়ে মহা-পরিচালক মহোদয়ের স্বাক্ষরের জন্য তার কাছে পেশ করা হয়। এবং মহা-পরিচালকের স্বাক্ষরের পর সনদপত্র গুলি মাঠ পর্যায়ে বিতরণের জন্য প্রেরণ করা হয়। এতে অনেক সময় ক্ষেপন হয়। এবং দেখা যায় প্রায়শই প্রশিক্ষণ সমাপ্তির দিন সনদপত্র বিতরন সম্ভব হয় না। এতে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য কার্যকারী করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।

ক্ষান্তরে,  সহজিকরণ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ সমাপ্তির শেষ দিনে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র প্রদান নিশ্চিত করার পদক্ষেপ হিসেবে সংশিস্নষ্ট ট্রেডের প্রশিক্ষণ সমাপ্তির এক সপ্তাহ পূর্বে সকল প্রশিক্ষণার্থীদের তালিকা মূল্যায়ন /টেবুলেশন শীট সহ মহা-পরিচালকের নিকট অনুমোদনের জন্য ই-মেইলের মাধ্যমে  প্রেরণ করা হয়। সাথে সাথে মহা-পরিচালক মহোদয় কর্তৃক টেবুলেশন শীট অনুমোদন করে তা ই-মেইল এর মাধ্যমে সংশিস্নষ্ট জেলায় প্রেরণ করা হয়। টেবুলেশন শীট এর অনুমোদন পাওয়ার পর প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র জেলার উপ-পরিচালক/আবাসিক যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর  / ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এবং সংশিস্নষ্ট ট্রেডের সিনিয়র প্রশিক্ষকগণ স্বাক্ষর করবেন। উক্ত সনদপত্রগুলি প্রশিক্ষণ সমাপ্তির দিনে প্রদান করা হয়। এতে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ সমাপ্তির সাথে সাথে সনদপত্র গ্রহণ করতে পারে। যা প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যকে কার্যকরী করে।

৮। প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রশিক্ষনে ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্যকারী আবেদনকারীগণ উক্ত কোর্সে পরবর্তীতে ভর্তি হতে আগ্রহী হলে তাকে পুনরায় সকল আনষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে নতুন করে আবেদন করতে হয়।

ক্ষান্তরে,    সহজিকরণ পদ্ধতিতে প্রত্যেক আবেদনকারী প্যানেল করা হয়। যাতে অকৃতকার্য প্রত্যাশী বেকার যুব  ও যুব মহিলা  উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে আগ্রহী হলে দ্বিতীয়বার আবেদন করার প্রয়োজন পরে না। তাদেও পূর্বেi আবেদনকেই ভর্তির আবেদন বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া প্রথমবার অকৃতকার্যদের পরবর্তীতে ভর্তির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

বেকার যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ সহজিকরণ এর মাধ্যমে জুলাই/২০১৫ থেকে মে/২০১৬ পর্যšÍ অর্জিত ফলাফলঃ

 

ক্রঃ নং

              ট্রেড

আবেদনকারীর সংখ্যা(জন)

প্রশিক্ষণের ভর্তির সংখ্যা(জন)

সনদপত্র গ্রহণকারীর সংখ্যা(জন)

কম্পিউটার (জেলা কার্যালয়)

৩৪৫

১১৪

৫৬+৫৭(অপেক্ষমান)

কম্পিউটার (টংগী কার্যালয়)

১৪৯

৯৮

৫০+৪৮(অপেক্ষমান)

পোশাক  তৈরী (জেলা কার্যালয়)

৮৩

৮৩

৫৬+২৭(অপেক্ষমান)

বস্নক প্রিন্টিং(জেলা কার্যালয়)

৪৫

৪৫

৩০+১৫(অপেক্ষমান)

মৎস্য চাষ

১৯৭

১৯৭

১৭৫+২২(অপেক্ষমান)

ইলেকট্রিক্যাল

৬৪

৬৪

২৮+৩৪(অপেক্ষমান)

ইলেকট্রনিক্স

৪৫

৪৫

১৮+২৫(অপেক্ষমান)

রেফ্রিজারেশন

৫২

৫২

২২+৩০(অপেক্ষমান)

ওভেন সুইং মেশিন

৭৮

৭৮

৫৮+২০(অপেক্ষমান)

১০

ফ্রি ল্যান্সিং

২০

২০

২০

 

                        মোট=

১০৭৮

৭৯৬

৫১৩+২৭৮(অপেক্ষমান)

 

 

প্রশিক্ষণার্থীগণ অতি অল্প সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ভর্তির আবেদপত্র উপজেলা পর্যায় থেকে এবং জেলা পর্যায় থেকে সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছেন। আবেদনপত্র গ্রহণ এবং দপ্তরে জমা দেয়ার ‡ক্ষত্রে তাদেরকে অত্র দপ্তরে মোট ২বার ভ্রমন করতে হয়েছে। এতে তাদের অর্থ, সময় ও যাতায়াত লাঘব হয়েছে। প্রকারন্তে প্রচলিত পদ্ধতিতে ১ জন প্রশিক্ষণার্থীকে আবেদনপত্র গ্রহণ ও দপ্তরে জমা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নূন্যZg ৫-৬ দিন দপ্তরে গমন করতে হতো এবং প্রতিবার নূন্যতম ২০/-টাকা যাতায়াত বাবদ খরচ হলে ১ জন প্রশিক্ষণার্থীর ভর্তি পর্যমত্ম ১০০/-থেকে ১২০/-টাকা খরচ হতো। অন্যদিকে সহজিকরণ পদ্ধতিতে ১জন প্রশিক্ষণার্থীর এ প্রক্রিয়ায় খরচ হয়েছে মাত্র ২০ ঢ ২=৪০/-। অর্থাৎ ১জন প্রশিক্ষণার্থীর ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন পর্যমত্ম ১০০-৪০=৬০/- টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

 

২০১৫ এর জুলাই থেকে ২০১৬ এর জুন পর্যন্ত মৎস্য ট্রেডে ৭টি, পোশাক তৈরী ট্রেডে ২টি, কম্পিউটার ট্রেডে ২টি, ব্লক প্রিন্টিং ট্রেডে ২টি, ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে ১টি, ইলেকট্রনিক্স ট্রেডে ১টি, রেফ্রিজারেশন ট্রেডে ১টি, ওভেন সুইং ট্রেডে ৩টি ব্যাচে মোট ৫১৩ জনকে প্রশিক্ষণ সমাপ্তির দিন সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে সনদপত্র প্রদান সহজতর ছিল না। প্রধান কার্যালয় হতে মহাপরিচালক মহোদয়ের স্বাক্ষরের পর তা মাঠ পর্যায়ে প্রেরণ করা হতো। এতে প্রশিক্ষণ সমাপ্তির দিন অধিকাংশ ‡ক্ষত্রেই সনদপত্র প্রদান সম্ভব হয়নি। এ কারণে প্রশিক্ষণার্থীগণদের সনদপত্র গ্রহণের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য ৩-৪ বার দপ্তরে গমন করতে হতো। এতে তাদের আর্থিক সময় এবং যাতায়াতের অপচয় হয়েছে। সহজিকরণ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ সমাপ্তির দিন সনদ বিতরণ করা হয়েছে এবং এ কারণে তাদের অতিরিক্ত ৩ দিন দপ্তরে গমন করতে হয় নাই। এ পদ্ধতি অনুসরণ করায় প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র গ্রহণের জন্য ৩ ঢ ২০=৬০/-টাকা(প্রতিবার) অতিরিক্ত খরচ করতে হয়নি । অর্থাৎ সনদপত্র গ্রহণের জন্য প্রতি প্রশিক্ষণার্থীর ন্যূনতম ৬০/-টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

 

১ জন প্রশিক্ষণার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং সনদপত্র গ্রহণ পর্যমত্ম মোট ৬০+৬০=১২০/-টাকা সাশ্রয় হয়েছে। পাশাপাশি তার সময় এবং ভিজিট এর সাশ্রয় হয়েছে।